দেখেন, একটা ব্যান্ড, ইন্টারন্যাশনাল, তাদের তো নানান কিছু নিয়া চিন্তা ভাবনা করা লাগে। চাইলেই গানে তারা সব কথা বলতে পারেন না, স্টেজে উঠে যা খুশী তা বলতে পারেন না। এই না পারার পিছনে কারন আছে। মেবি ভক্তরা তাদের ছেড়ে চলে যাবে, মেবি এলবাম সেল কমে যাবে, তারা সেন্সরড হবেন, রেডিও টিভি চ্যানেল গুলা তাদের গান প্লে করা অফ করে দিবে, এরকম নানা কারনে স্টারডম এ থেকে সব কথা বলা যায় না, সবকিছু করা যায় না।
কিন্তু ডিস্টার্বড বলছে। ডিস্টার্বড এর ভোকালিস্ট ডেভিড পাবলিক স্টেজে উঠলেন একদিন, এন্ড উনি জিগেস করলেন আপনাদের মধ্যে কারা কারা ডিপ্রেশনে ভুগছেন হাত তুলেন। কারা কারা কোন এডিকশনে ভুগতেছেন, কারা কাছের কাউকে হারিয়ে যন্ত্রনায় আছেন, হাত তুলেন। এবার আপনার চারপাশে তাকান। দর্শকেরা চারদিকে তাকিয়ে দেখলো সবাই হাত তুলে রেখেছে। ডেভিড তখন বললেন, দেখছেন, আপনি একা না।
আমাদের ইনার ডেমন, ডিপ্রেশন, এডিকশন এগুলো কারোর একার সমস্যা না। সু*ই*সা*ইড এগুলোর সমাধান হইতে পারে না, আপনি একা এর শিকার হইলে কথা ছিলো, বাট আপনার চারপাশে অন্য সবাই? ঐ মুহুর্তটায় আমি সহ পৃথিবীর সব ডিস্টার্বড ফ্যান রা একটা ম্যাসেজ পাইলো। আমরা একা না, আর এই ইনার ডেমনের মত শত্রুর সাথে একা ফাইট করতে হবে না, কারন আমরা সংখ্যায় অনেক। ফাইট সবাই মিলে করবো।
পরে ডিস্টার্বড A Reason To Fight টাইটেলে গান ও করেছে একটা। সেটার মিউজিক ভিডিও টা দেখলেই বুঝবেন আমি কি বুঝাইতে চাইছি। আমার নিজের লাইফে পার্সোনালি আমি ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন পেশেন্ট, আম্মুরে হারায় ফেলার পর ব্যাপার টা বাড়ছে আরো। এন্ড এই খারাপ সময় গুলোতে একটা ব্যান্ড, তাদের গানে, লিরিক্সে আমাকে যে এনার্জি টা দিছে, টিকায় রাখছে, ফাইট ব্যাক করার একটা রিজন দিছে, সেইটা আমার জন্য লাইফ চেঞ্জার ছিলো।
এভেঞ্জার্স মুভিতে হাল্কের একটা সিন আছে না? সে বলে যে তার সিক্রেট সে অলোয়েজ রেগে আছে। আমার ডিপ ডাউন সিক্রেট আমি মোস্ট অফ দা টাইম ডিপলী আপসেট। আমার স্ট্রেইট ফেইস দেখে ধোকা খাবেন না, এটা সিম্পলী একটা মুখোস, দুর্বলতা লুকানোর একটা মুখোস। এইযে আমি আমার দুর্বলতা পাবলিক্যালী লিখে ফেলতে পারতেছি, এই সাহস টা ডিস্টার্ব দেয় আমারে। আমি আমার উইকনেস এডমিট করতে ভয় পাই না, বিকজ রিয়েলিটি থেকে পালায় বোকারা। আমার নিজেকে বোকা ভাবতে আপত্তি আছে। চতুর, চালাক না আমি, বাট আমি ভীত না, ভয় অনুভুতি টা কাজ করে না আমার।
এই আপসেট নেস রে রোমান্টিসাইজ করার কোন কারন নাই, ঐ পিকী ব্লাইন্ডারস এর সিন টারে যেমনে পপুলারিস্ট রা রোমান্টিসাইজ করছে, সেইটা বরং যারা ক্লিনিক্যাল কন্ডিশনে ভুগতেছেন, তাদের জণ্য আরো ক্ষতিকর। আমরা কেউ আপসেট থাকতে চাই না, মানুষ আপসেট মানুষ দের পছন্দ করে না, তাদের সংগ পছন্দ করে না। তাই আমাদের মুখোসের দরকার পরে কিছু যায়গায়। এগুলো কাউকে বলা যায় না, কিন্তু লিখে ফেলা তো যায়, আই জাস্ট ডিড দ্যাট। কিপ রকিং, ইনার ডেমন রে জিততে আমি দিব না, আমার ভাইয়েরা, রিমেম্বার ইউর এনসেস্টরস।
তাদের বেশীরভাগের জীবন খুবি কষ্টে কাটছে, হয়তো রাজার প্রজা হয়ে চাবুকের বাড়ি, জমিদারের অত্যাচার, ব্রিটিশদের দাস হয়ে, অনেক অনেক প্রজন্মের পরে তুই এইখানে ভাইয়া। হাজার বছরের এত এত অত্যাচার, যুদ্ধ, খরা, বন্যা তাদের থামাইতে পারে নাই, তারা থেমে গেলে তর জন্ম হইতো না। তুই তাদের মুখে কালি দিয়া থাইমা যাবার কথা চিন্তা করস কেমনে ! জীবনে নিজের রক্তের সাথে বেইমানী করা যাবে না, এই রক্তের জন্য দাড়ায়া থাকা লাগবে একটা খাম্বার মত চোখ মুখ শক্ত কইরা। কি আসে, যায় যাক, আমারে, তরে কোন কিছু থামায় দিতে পারবে না। শরীরে রক্ত আছে, পুর্বপুরুষদের রক্ত, সেইটার মুল্য পুরা দুনিয়ার সবকিছুর থেকে বেশী।