গরমের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করা দরকার, স্পেশালী আমার। যশোরে নতুন ডাটা সেন্টার টায়ার ফোর শুনলাম, তবু আসলে গেলো বছরগুলার পর দেশের হার্ডওয়্যারে ভরসা পাই না কেন জানি।
আমারে ভিলেন ভাইবেন না, আমার ম্যানেজড ক্লায়েন্ট এর ইকমার্স সাইটে এক দিনের ৭ লাখ টাকার সেল সিম্পলী পুড়ে গেছে, ব্যাকাপ টাও ঐ বিল্ডিং এই ছিলো, ডাউন ছিলো ৩ দিন। সেই ক্লায়েন্ট রে আমি নিজের সম্মান, ফাইনানশিয়াল কন্ডিশন প্লাস ল সুটের রিস্ক নিয়ে আরো দেশে রাখি?
আমি আশাবাদি, আমি দেশ রে অসম্ভব ভালোবাসি। আমি স্বপ্ন দেখি আমাদের দেশে এনার্জি প্রবলেম থাকবে না, আমরাও উন্নত দেশগুলার মত কারেন্ট নাই শুনলে বলবো এইটা আবার কিভাবে হয় ২০২৪ সালে এসে !! আমাদের দেশে মেজর আইটি কম্পানীগুলোর অফিস থাকবে, তাদের নিজেদের ডাটাসেন্টার থাকবে। আমাদের হোম গ্রোন এ আই মার্কেটে ডমিনেট করবে।
কেমনে আনা সম্ভব সেই দিন? গো নিউক বয়, যে পপুলেশন, এরাউন্ড ১৪ টা মডার্ন নিউক্লিয়ার পাওয়ার সেন্টার দরকার। মডার্ন আলাদা করে উল্লেখ করলাম, কারন প্রথম দিকের ডিজাইনে ত্রুটি ছিলো, এর জন্য চেরনবিল টাইপ ইভেন্ট হইছে। দেখেন যেকোন নতুন কিছুতে প্রবলেম থাকবেই। প্রথম কম্পিউটার যেটা আমাদের চাদে নিয়ে গেছিলো, সেটার প্রসেসিং পাওয়ার একটা বাটন ফোনের থেকেও কম। আমরা সেইখানে থেমে থাকি নাই তো। এই বছর মার্কেটে ৬+ গিগাহার্জ প্রসেসিং পাওয়ার ওয়ালা চিপ রেগুলার বাসার কম্পিউটার এর জন্য কেনা যাবে বলে জানি।
সিকিউরিটি নিয়া কি বলবো, ব্যাংক এ গেছেন না? বেশীভাগ সময় একটা মধ্য বা অতি বয়স্ক ভদ্রলোক হাতে একটা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ আমলের খেলনা বন্দুক নিয়ে দারিয়ে থাকে। ঐটা খেলনাই ভাই, স্পেয়ার পার্টস পাওয়া যায় না, ওগুলো থেকে শেষ ফায়ার কত যুগ আগে হইছিলো কেউ ই জানে না। আর এইদিকে আমার পাবলিক ডাটা লিক হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক হ্যাক হয়।
এমন হইতো না। টেকটিউনস এর কথা মনে আছে? টেকটিউনস আমাদের টাইগারমেটদের দিছিলো, বিডি সাইবার আর্মিদের দিছিলো, ওখানে দেশের ছোট বড় স্টার্ট আপ গুলো স্পন্সর করতো, আমি নিজেই বিস্বয় ডট কম এর স্পন্সর করছি। আমি লিখতাম, আরো কত যে আইটি অবসেসড মানুষ ওখানে লিখতো। এই মাথাগুলো সাইবার সিকিউরিটিতে কাজে লাগাইলে ডাটা লিকেজ ও হইতো না, এই মাথাগুলো ডেভেলপমেন্ট দিলে একটা এপ বানাইতে হাজার কোটি টাকাও খরচ হইতো না, সরকারী ওয়েবসাইট গুলো দেখতেও এমন হইতো না।
দেশের ভিতর সিকিউরিটি অতি সহজ। আমি কই থাকি সব্বাই জানে, আমি রিস্ক হইলে আমারে তুলে নিয়ে যাইতে ১০ মিনিট ও লাগবে না, থানার সামনেই বাসা। আজকে এটা লেখা যায় না, ওটা বলা যায় না। এগুলান বাদ দিয়া হোমগ্রোন অনলাইন টাউন হল হোক, হোমগ্রোন সোশাল মিডিয়া হোক, চাইনিজ কম্পানীটার একটা যোগ্য কম্পিটিটর অন্তত হোক ইকমার্সে। লোকাল স্মল বিজনেস গুলো ব্যাবসা করুক, ইকোনমী, সাইবার মেন্টাল স্ট্রেস সব ৯০ ভাগ কমে যাবে বলে দিলাম, দেইখেন।
শিমুল
৩১ মার্চ ২০২৪