Skip to content
Home » Blog » আমাকে বন্দুকের লাইসেন্স দেন, আমি সিভিলিয়ান

আমাকে বন্দুকের লাইসেন্স দেন, আমি সিভিলিয়ান

ভাই, বাংলাদেশী সোশাল মিডিয়া গেছিলাম রেজিস্ট্রেশন করতে। বিন লা()দেন এর নামের আগে হজরত, আই-সি-স এর প্রোপাগান্ডা, তা@লে@বা#ন দের ট্রেনিং ভিডিও দেখে ভয় টয় পেয়ে বের হয়ে আসছি।

থাক, আমি শান্তিতে থাকতে পছন্দ করি, আমার ইনস্টাগ্রাম ই ভালো।

ফিড ভর্তি ওয়াচ, কেউ মডিফাই করতেছে, কেউ আলীএক্সপ্রেস থেকে পার্টস কিনে নিজে বানাচ্ছে, ও দেখাই আমার শান্তির জন্য বেটার ভাই।

বেশ কিছুদিন আগে আফগানিস্তানের অফিশিয়াল ডিফেন্স মিনিস্ট্রি এর ইউটিউব চ্যানেল পাইছিলাম। সে ট্রেনিং ভিডিও দেখে আসবো না কাদবো বুঝতেছিলাম না। সৈনিক রা একে অন্যের উপর দারায় পিরামিড বানাচ্ছে, আগুনের রিং এর ভেতর দিয়ে লাফ দিতেছে, স্বাধীনতা দিবসে আমাদের স্কুলের ক্যাডেট রা যেগুলা স্টান্ট করে সেরকম আরকি। এই রকম ভিডিও নর্থ কোরিয়া ও বানায়, বাট ওদের আর্মি ব্যাটল টেস্টেড এখন।

এ আই, ড্রোন এর যুগ ভাই। এমন এক দেশে বাস করি, ডিফেন্স বাজেট সিরিয়াসলী হাস্যকর ২০২৫ সালে এসে। এটাক অনেক দুরের কথা, একটা ভালো মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম নাই। ইরানের মত শক্ত দেশ বসে বসে মিসাইল খায়, কিছু করার নাই দেখে, ওদের রাশিয়ান এস ৩০০ থাকার পরেও।

১। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ম্যান্ডাটরী মিলিটারী সার্ভিস চালু করা উচিত। নুন্যতম ১৮ মাস আর্মী ট্রেনিং করবে এস এস সি’র পরেই। এতে ডিসিপ্লিন শিখবে, ফিট থাকবে নেক্সট জেনারেশন।

২। পয়জনাস ফিস নীতি অনুসারে দেশে ফা()য়ার আর্মস এর নীতিমালা অতি সহজ করা উচিত। এখানে অন্তত আমেরিকার কাছ থেকে কিছু শেখার আছে। আমেরিকার আর্মীর প্রয়োজন নেই, সিভিলিয়ান দের কাছে যে পরিমান ফায়ার পাওয়ার আছে, পৃথিবীর কোন দেশ ওদের ল্যান্ড টাচ করতে সাহস পাবে না।

৩। অপরাধীদের কাছে অস্ত্র আছে। আমি একজন সাধারন নাগরিক, আমার একটা রান্নাঘরের ছুড়ি সাথে নিয়ে বাইরে যাবার অধিকার নাই। অনেকে বলেন নারীদের কারাতে শিখতে, পুরুষদের জুডো শিখতে। আপনি সিরিয়াসলী বিশ্বাস করেন অস্ত্রের সামনে এগুলা কোন কাজের? আমার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করেন, কোন অপরাধের রেকর্ড না পাইলে আমার আইডি কার্ড স্ক্যান করে আমাকে ক্যারি করার পারমিশন দেন।